فَبَعَثَهُمَا عَلِيٌّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ وَجْهًا ، وَقَالَ : إِنَّكُمَا عِلْجَانِ ، فَعَالِجَا عَنْ دِينِكُمَا ، ثُمَّ قَامَ فَدَخَلَ الْمَخْرَجَ ثُمَّ خَرَجَ ، فَدَعَا بِمَاءٍ فَأَخَذَ مِنْهُ حَفْنَةً فَتَمَسَّحَ بِهَا ، ثُمَّ جَعَلَ يَقْرَأُ الْقُرْآنَ ، فَأَنْكَرُوا ذَلِكَ ، فَقَالَ : " إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، كَانَ يَخْرُجُ مِنَ الخَلَاءِ فَيُقْرِئُنَا الْقُرْآنَ ، وَيَأْكُلُ مَعَنَا اللَّحْمَ وَلَمْ يَكُنْ يَحْجُبُهُ - أَوْ قَالَ : يَحْجِزُهُ - عَنِ الْقُرْآنِ شَيْءٌ لَيْسَ الْجَنَابَةَ "
حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ عُمَرَ ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَلَمَةَ ، قَالَ : دَخَلْتُ عَلَى عَلِيٍّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ ، أَنَا وَرَجُلَانِ ، رَجُلٌ مِنَّا وَرَجُلٌ مِنْ بَنِي أَسَدٍ أَحْسَبُ ، فَبَعَثَهُمَا عَلِيٌّ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ وَجْهًا ، وَقَالَ : إِنَّكُمَا عِلْجَانِ ، فَعَالِجَا عَنْ دِينِكُمَا ، ثُمَّ قَامَ فَدَخَلَ الْمَخْرَجَ ثُمَّ خَرَجَ ، فَدَعَا بِمَاءٍ فَأَخَذَ مِنْهُ حَفْنَةً فَتَمَسَّحَ بِهَا ، ثُمَّ جَعَلَ يَقْرَأُ الْقُرْآنَ ، فَأَنْكَرُوا ذَلِكَ ، فَقَالَ : إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلّى اللهُ عَلَيْهِ وسَلَّمَ ، كَانَ يَخْرُجُ مِنَ الخَلَاءِ فَيُقْرِئُنَا الْقُرْآنَ ، وَيَأْكُلُ مَعَنَا اللَّحْمَ وَلَمْ يَكُنْ يَحْجُبُهُ - أَوْ قَالَ : يَحْجِزُهُ - عَنِ الْقُرْآنِ شَيْءٌ لَيْسَ الْجَنَابَةَ
حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ عُمَرَ، حَدَّثَنَا شُعْبَةُ، عَنْ عَمْرِو بْنِ مُرَّةَ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ سَلِمَةَ، قَالَ دَخَلْتُ عَلَى عَلِيٍّ - رضى الله عنه - أَنَا وَرَجُلاَنِ رَجُلٌ مِنَّا وَرَجُلٌ مِنْ بَنِي أَسَدٍ - أَحْسِبُ فَبَعَثَهُمَا عَلِيٌّ - رضى الله عنه - وَجْهًا وَقَالَ إِنَّكُمَا عِلْجَانِ فَعَالِجَا عَنْ دِينِكُمَا . ثُمَّ قَامَ فَدَخَلَ الْمَخْرَجَ ثُمَّ خَرَجَ فَدَعَا بِمَاءٍ فَأَخَذَ مِنْهُ حَفْنَةً فَتَمَسَّحَ بِهَا ثُمَّ جَعَلَ يَقْرَأُ الْقُرْآنَ فَأَنْكَرُوا ذَلِكَ فَقَالَ إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ ﷺ كَانَ يَخْرُجُ مِنَ الْخَلاَءِ فَيُقْرِئُنَا الْقُرْآنَ وَيَأْكُلُ مَعَنَا اللَّحْمَ وَلَمْ يَكُنْ يَحْجُبُهُ - أَوْ قَالَ يَحْجُزُهُ - عَنِ الْقُرْآنِ شَىْءٌ لَيْسَ الْجَنَابَةَ .
Narrated Ali ibn AbuTalib: Abdullah ibn Salamah said: I, accompanied by other two persons, one from us and the other from Banu Asad, called upon Ali. He sent them to a certain territory (on some mission) saying: You are sturdy and vigorous people; hence display your power for religion. He then stood and entered the toilet. He then came out and called for water and took a handful of it. Then he wiped (his hands) with it and began to recite the Qur'an. They were surprised at this (action). Thereupon he said: The Messenger of Allah (ﷺ) came out from the privy and taught us the Qur'an and took meat with us. Nothing prevented him; or the narrator said: Nothing prevented him from (reciting) the Qur'an except sexual defilement
Telah menceritakan kepada kami [Hafsh bin Umar] telah menceritakan kepada kami [Syu'bah] dari ['Amru bin Murrah] dari [Abdullah bin Salamah] dia berkata; Saya pernah menemui [Ali radliallahu 'anhu] bersama dua orang laki-laki, seorang dari kami dan seorang lagi dari Bani Asad -saya sangka-. Kemudian Ali radliallahu 'anhu mengutus keduanya ke suatu tempat untuk suatu keperluan seraya berkata; Sesungguhnya kalian berdua kuat dalam bekerja, maka jadilah kalian kuat dalam agama kalian. Kemudian dia bangkit dan masuk ke tempat buang hajat. Setelah keluar, dia meminta air, lalu mengambil satu ciduk darinya dan membasuh sebagian anggota badannya dengan air tersebut. Kemudian dia membaca Al Quran (tanpa berwudhu terlebih dahulu), dan orang-orang mengingkari apa yang dilakukannya, maka dia berkata; Sesungguhnya Rasulullah shallallahu 'alaihi wasallam pernah keluar dari tempat buang hajat lalu membacakan Al Quran untuk kami dan makan daging bersama kami. Tidak ada sesuatu pun yang menghalanginya dari membaca Al Quran selain junub
Abdullah b. Seleme'den, demiştir ki; Biri bizden, diğerinin de Beni Esed'den olduğunu zannettiğim iki kişi ile birlikte Ali (r.a.)'ın huzuruna girdim. Ali (r.a.) onları (amil olarak veya bir başka görevle) bir tarafa gönderdi ve şöyle dedi: "Siz, ikiniz de güçlü kuvvetlisiniz. Dininiz için çalışınız (veya dininizi koruyunuz)." Sonra kalkıp helaya girdi. Heladan çıktı su istedi, bir avucuna alıp onunla (ellerini) yıkadı. Sonra Kur'an okumaya başladı. (Oradakiler) bunu garipsediler. Bunun üzerine Hz. Ali şöyle dedi: "Muhakkak, Resulullah (sallallahu aleyhi ve sellem); hela'dan çıkar, bize Kur'an-ı Kerim okutur ve bizimle beraber et yerdi. Cünuplükten başka hiç bir şey onu Kur'an (okumak)dan ahkoymazdı." Diğer tahric: Nesaî, tahare; İbn Mace, tahare; Ahmed b. Hanbel
عبداللہ بن سلمہ کہتے ہیں میں اور میرے ساتھ دو آدمی جن میں سے ایک کا تعلق میرے قبیلہ سے تھا اور میرا گمان ہے کہ دوسرا قبیلہ بنو اسد سے تھا، علی رضی اللہ عنہ کے پاس آئے، تو آپ نے ان دونوں کو ( عامل بنا کر ) ایک علاقہ میں بھیجا، اور فرمایا: تم دونوں مضبوط لوگ ہو، لہٰذا اپنے دین کی خاطر جدوجہد کرنا، پھر آپ اٹھے اور پاخانہ میں گئے، پھر نکلے اور پانی منگوایا، اور ایک لپ لے کر اس سے ( ہاتھ ) دھویا، پھر قرآن پڑھنے لگے، تو لوگوں کو یہ ناگوار لگا، تو آپ نے کہا: رسول اللہ صلی اللہ علیہ وسلم بیت الخلاء سے نکل کر ہم کو قرآن پڑھاتے، اور ہمارے ساتھ بیٹھ کر گوشت کھاتے، آپ صلی اللہ علیہ وسلم کو قرآن ( پڑھنے پڑھانے ) سے جنابت کے علاوہ کوئی چیز نہ روکتی یا مانع نہ ہوتی۔
। ‘আবদুল্লাহ ইবনু সালামাহ (রহঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি এবং আমার সাথে আরো দু’জন লোক ‘আলী (রাঃ)-এর নিকট গেলাম। তাদের একজন আমাদের গোত্রের আর অন্যজন সম্ভবত বানু আসাদ গোত্রের। ‘আলী (রাঃ) তাদের দু’জনকে কোন কাজে পাঠালেন এবং প্রেরণের সময় বললেন, তোমরা দু’জনই শক্তিশালী। কাজেই তোমরা তোমাদের শক্তি দীনের ক্ষেত্রে ব্যয় করবে। অতঃপর তিনি পায়খানায় গেলেন এবং সেখান থেকে বের হয়ে পানি চাইলেন। তিনি এক অঞ্জলি পানি হাতে নিয়ে (মুখ) মুছে কুরআন তিলাওয়াত করতে লাগলেন। লোকেরা বিষয়টি আপত্তিকর মনে করলে তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পায়খানা থেকে বেরিয়ে এসে আমাদের কুরআন পড়াতেন এবং আমাদের সঙ্গে গোশতও খেতেন। একমাত্র জানাবাত (গোসল ফরয হওয়ার নাপাকি) ব্যাতীত কোন কিছুই তাঁকে কুরআন থেকে বিরত রাখতে পারতো না।[1] দুর্বল : মিশকাত ৪৬০। [1] তিরমিযী (অধ্যায়ঃ পবিত্রতা, অনুঃ অপবিত্র না হলে যে কোনো অবস্থায় কুরআন পাঠ বৈধ, হাঃ ১৪৬, ইমাম তিরমিযী বলেন, এ হাদীসটি হাসান সহীহ), নাসায়ী (অধ্যায়ঃ পবিত্রতা, হাঃ ৫৯৪), আহমাদ (১/৮৪, ১০৭, ১২৪), সকলেই একাধিক সনদে ‘আমর ইবনু মুররাহ থেকে ‘আব্দুল্লাহ ইবনু সালামাহ সূত্রে। এর দোষ হচ্ছেঃ এ হাদীস বর্ণনায় ‘আব্দুল্লাহ ইবনু সালামাহ একক হয়ে গেছেন। বৃদ্ধ বয়সে তার স্মরণশক্তি উলট পালট হয়ে যায়। আর এ হাদীসটি তিনি বৃদ্ধ বয়সে বর্ণনা করেন। অনুরূপ বলেন, শু‘বাহ, ‘মুখতাসার সুনানুল কুবরা’ (১/১৫৬), ইমাম খাত্তাবী ‘মা‘আলিমুম সুনান; (১/৬৬) গ্রন্থে বলেন, ইমাম আহমাদ ‘আলীর এ হাদীসটিকে সন্দেহ করতেন এবং ‘আব্দুল্লাহ ইবনু সালামাহকে দুর্বল বলেছেন। হাদীস থেকে শিক্ষাঃ ১। কেউ কোনো সুন্নাত বিরোধী কাজ হতে দেখলে তার উচিত ঐ কর্ম সম্পাদনকারীকে নিষেধ করা। ২। ছোট অপবিত্র অবস্থায় কুরআন তিলাওয়াত জায়িয। মাসআলাহঃ হায়িয, নিফাস ও জুনুবী অবস্থায় কুরআন পাঠ প্রসঙ্গেঃ (১) ‘আলী (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত হাদীসঃ حديث علي رضي الله عنه ان رسول الله صلي الله عليه وسلم كان يخرج من الخلاء فيقرئنا القران ويأكل معنا اللحم ولم يكن يحجبه او قال يحجزه عن القران شئ ليس الجنابة (ক) আলী (রাঃ) বলেনঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পায়খানা থেকে বেরিয়ে এসে আমাদের কুরআন পড়াতেন এবং আমাদের সঙ্গে গোশতও খেতেন। একমাত্র জানাবাত (গোসল ফারয হওয়ার নাপাকি) ব্যতীত কোনো কিছুই তাঁকে কুরআন থেকে বিরত রাখতে পারতো না। হাদীসটি দুর্বলঃ এটি বর্ণনা করেছেন আবূ দাঊদ (২২৯), নাসায়ী (১/৫২), তিরমিযী (১/২৭৩-২৭৪), ইবনু মাজাহ (৫৯৪), আহমাদ (১/৮৪, ১২৪), ত্বায়ালিসি (১০১), ত্বাহাবী (১/৫২), ইবনুল জারুদ ‘মুনতাক্বা’ (৫২-৫৩), দারাকুতনী (৪৪ পৃঃ), ইবনু আবূ শায়বাহ (১/৩৬/১), হাকিম (১/৫২, ৪/১০৭), ইবনু ‘আদী ‘কামিল’ (ক্বাফ ২১৪/২) এবং বায়হাক্বী (১/৮৮-৮৯), প্রত্যেকেই ‘আমর ইবনু মুররাহ থেকে ‘আব্দুল্লাহ ইবনু সালামাহ সূত্রে, তিনি বলেনঃ ‘‘আমি এবং আরো দু’ ব্যক্তি আলী (রাঃ)-এর নিকট আসলাম, তখন তিনি বললেন... (হাদীস)।’’ হাদীসটি তিরমিযীতে সংক্ষেপে এ শব্দে বর্ণিত হয়েছেঃ كان رسول الله صلي الله عليه وسلم كان يقرئنا القران علي كل حال ما لم يكن جنبا ‘‘শরীর অপবিত্র না হলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে সর্বাবস্থায় কুরআন পড়াতেন।’’ এটি ইবনু আবূ শায়বাহ ও অন্যদেরও বর্ণনা। তবে ইবনুল জারুদ বৃদ্ধি করেছেনঃ ‘‘শু‘বাহ এ হাদীস সম্পর্কে বলতেনঃ আমরা হাদীসটি জানি এবং তা প্রত্যাখ্যান করি। অর্থাৎ ‘আব্দুল্লাহ ইবনু সালামাহকে ‘আমর বৃদ্ধ বয়সে পেয়েছেন।’’ এ উদ্ধৃতিতে এ ইঙ্গিতই রয়েছে যে, শেষ বয়সে ইবনু ‘আব্দুল্লাহর স্মরণশক্তি বিকৃত হয়ে যায়। আর ‘আমর ইবনু মুররাহ হাদীসটি তার কাছ থেকে ঐ অবস্থায়ই বর্ণনা করেন। এ তথ্য হাদীসটির ব্যাপারে সন্দেহ জাগায় এবং হাদীসটিকে দুর্বল করে দেয়। হাদীস বিশারদ ইমামগণের একদল বিষয়টি স্পষ্টও করেছেন। আল্লামা মুনযিরী ‘মুখতাসার সুনান’ (১/১৫৬) গ্রন্থে বলেনঃ ‘‘আবূ বাকর আল বাযযার উল্লেখ করেন যে, ‘আলীর হাদীসটি কেবল ‘আব্দুল্লাহ ইবনু সালামাহ থেকে ‘আমর ইবনু মুররাহ সূত্রেই বর্ণিত হয়েছে। ইমাম বুখারী (রহঃ) ‘আমর ইবনু মুররাহ সূত্রে বর্ণনা করেন যে, ‘আব্দুল্লাহ ইবনু সালামাহ আমাদের নিকট হাদীস বর্ণনা করতেন, আমরা তা চিনতাম এবং প্রত্যাখ্যান করতাম। তিনি বৃদ্ধ হয়ে গিয়েছিলেন, তার হাদীস অনুসরণ করা হতো না। ইমাম শাফিঈ (রহঃ) এ হাদীস সম্পর্কে বলেনঃ হাদীস বিশারদ ইমামগণ হাদীসটিকে প্রমাণযোগ্য বলেননি। ইমাম বায়হাক্বী বলেনঃ ‘ইমা শাফিঈ এ হাদীসটির প্রামাণ্যতার ব্যাপারে থেমে গেছেন, কেননা এর মূল বিষয় বর্তায় ‘আব্দুল্লাহ ইবনু সালামাহ আল-কূফীর উপর। তিনি বৃদ্ধ হয়ে গিয়েছিলেন। কতিপয় প্রত্যাখ্যানকারী তার হাদীস ও ‘আক্বলকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। আর তিনি এ হাদীসটি বৃদ্ধ হওয়ার পরই বর্ণনা করেছেন। যা শু‘বাহ বলেছেন।’ ইমাম খাত্তাবী উল্লেখ করেন, ইমাম আহমাদ ইবনু হাম্বাল (রহঃ) ‘আলীর এ হাদীসটিকে সন্দেহ করতেন এবং ‘আব্দুল্লাহ ইবনু সালামাহর কারণে দুর্বল বলতেন।’’ কিন্তু এসব ইমামগণের বিপরীত করেছেন অন্যান্য ইমাম। ইমাম তিরমিযী বলেনঃ এ হাদীসটি হাসান সহীহ। হাকিম ও যাহাবী এর সানাদকে সহীহ বলেছেন। অনুরূপভাবে সহীহ বলেছেন ইবনুস সুকূন, ‘আব্দুল হাক্ব ও বাগাভী ‘শারহু সুন্নাহ’ গ্রন্থে, যেমন রয়েছে হাফিযের ‘আত-তালখীস’ গ্রন্থে। তবে হাফিয মধ্যমপন্থা অবলম্বন করে ‘ফাতহুল বারী’ (১/৩৪৮) গ্রন্থে বলেনঃ ‘‘হাদীসটির সুনান প্রণেতারা বর্ণনা করেছেন। ইমাম তিরমিযী ও ইবনু হিব্বান একে সহীহ বলেছেন এবং কতিপয় ইমাম একে দুর্বল বলেছেন। সঠিক হচ্ছে, এটি হাসান পর্যায়ের, যা দলীলের উপযোগী।’’ হাদীসটির ব্যাপারে এটা হচ্ছে হাফিযের রায়। কিন্তু আমরা তার সাথে একমত নই। কেননা হাফিয নিজেই ‘আত-তাক্বরীব’ গ্রন্থে বর্ণনাকারী ‘আব্দুল্লাহ ইবনু সালামাহর জীবনীতে ইবনু সালামাহ সম্পর্কে বলেনঃ ‘‘তিনি সত্যবাদী, কিন্তু তার স্মরণশক্তি বিকৃত হয়ে যায়।’’ ইতিপূর্বে বলা হয়েছে যে, হাদীসটি তিনি স্মরণশক্তি বিকৃত অবস্থায় বর্ণনা করেছেন। সুতরাং স্পষ্ট যে, হাফিয হাদীসটিকে হাসান বলে হুকুম দেয়ার সময় নাববী (রহঃ) আল-মাজমু’ (২/১৫৯) গ্রন্থে বলেনঃ ‘‘ইমাম তিরমিযী হাদীসটিকে সহীহ বলে অন্যান্য মুহাদ্দিসগণের পরিপন্থি কাজ করেছেন। কেননা মুহাক্কিকীন হাফিযগণ হাদীসটিকে দুর্বল বলেছেন।’’ অতঃপর তিনি ইমাম শাফিঈ ও ইমাম বায়হাক্বীর উদ্ধৃতি দেন যা মুনযিরী তাদের সূত্রে উল্লেখ করেছেন। অতএব এ সমস্ত মুহাক্কিক ইমামগণ যা বলেছেন সেটাই আমাদের নিকট অগ্রাধিকারযোগ্য। কেননা হাদীসটি ‘আব্দুল্লাহ ইবনু সালামাহর একক বর্ণনা, এবং বিশেষ করে তার স্মরণশক্তি বিকৃত অবস্থায় এটি বর্ণিত। [পরের অংশ নোট দ্রষ্টব্য]